• মঙ্গলবার , ২৩ এপ্রিল ২০২৪

জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে বিমান চলাচলে নিরাপত্তায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি-মেনন


প্রকাশিত: ৬:৪৬ পিএম, ১২ জুলাই ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮ বার

বিশেষ প্রতিনিধি   :   সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা  1ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তবে এটা রেড অ্যালার্ট নয় বলে তিনি জানান। এদিকে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিবহনে নিষেধাজ্ঞাকে ‘রাজনৈতিক’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের জন্য কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন বিমানমন্ত্রী।

আজ মঙ্গলবার বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সঙ্গে বৈঠকের পর বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার বিমান চলাচলে নিরাপত্তার বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলবে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটাকে আমরা রেড অ্যালার্ট বলি না। তার একটা অন্য অর্থ রয়েছে।’

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা কবে নাগাদ উঠতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, কার্গো ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এসব বিষয় কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সাতটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে বৈঠক করবে। এ ছাড়া বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাসকেও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে সবাইকে নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা বলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরাপত্তার ঘাটতির কারণ দেখিয়ে গত মাসের শেষ সপ্তাহে জার্মানি বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে একইভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।

এরপর মার্চের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের পরামর্শ মেনে ওই দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রেডলাইনকে নিয়োগ দেওয়া হয় শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার ও এখানকার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য।

এরই মধ্যে গত মাসে শাহজালাল বিমানবন্দর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ‘আরএ-৩’ (ইইউ এভিয়েশন সিকিউরিটি ভ্যালিডেটেড রেগুলেটেড এজেন্ট) মর্যাদা পায়। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পুনরায় মালামাল স্ক্রিনিং করে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় কার্গো পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে এর আগে বিমানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় কার্গো যেতে তৃতীয় দেশে রি-স্ক্রিনিং করাতে হবে, যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন হবে না।

জার্মানির বিষয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের জানাব, তোমরা আমাদের আরএ-৩ দিয়েছ। লুফথানসা এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারাও এসে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারপরও তোমরা কেন এটা বন্ধ করে রেখেছ?’