• শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ছা-লীগার ধর্ষক কুলাঙ্গার আরিফ পাকরাও


প্রকাশিত: ৭:৫১ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৪ বার

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : ছা-লীগার (ছা-ছাত্রলীগের ঐতিহ্য নষ্ঠকারী ছত্রাক) ধর্ষক কুলাঙ্গার নেতা আরিফ অবশেষে পাকরাও হয়েছে। এই নষ্ঠ নেতা শরীয়তপুরে ছয় নারীকে ফাঁদে chatroleage-Rapist-www.jatirkhantha.com.bdফেলে ধর্ষণ ও নোংরা সেসব দৃশ্য গোপনে ভিডিও করার অভিযোগ অভিযুক্ত শরীয়তপুরের নারায়নপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদারেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরীয়তপুরের গোসাইরহাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার খন্দার খায়রুল হাসান তাকে আটক করেছেন। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার সইক্কা ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জাতিরকন্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

এএসপি খন্দার খায়রুল হাসান বলেন, আরিফ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে ট্রলারযোগে গোসাইরহাট আসতে ছিল। সে তার বাবা ও মামার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করছিল। ওই ফোনের কল ট্রাকিং করে তার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পদ্মা ও মেঘনা নদী পার হয়ে জয়ন্তিয়া নদীতে ট্রলার প্রবেশ করলে তাকে পুলিশ ঘেরাও দিয়ে আটক করে। তাকে ভেদরগঞ্জ থানায় নেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আরিফ হোসেন হাওলাদার। সে ফেরাঙ্গিকান্দি গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র। ফাঁদে ফেলে ছয় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টেবর ছয় নারীকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ও ছবি মানুষের হাতে ছড়িয়ে পরে।

১৭ অক্টোবর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেন। অভিযোগ পেয়ে ১৯ অক্টোবর ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ আরিফকে বহিষ্কার করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ১১ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগ আরিফকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ভুক্তভোগী এক নারী তার বিরুদ্ধে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়।