• শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ঘুষ কমাচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি..


প্রকাশিত: ৭:১২ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৭ বার

 
Gus-www.jatirkhantha.com.bdস্টাফ রিপোর্টার : সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি হয়রানি ও ঘুষ লেনদেন কমিয়ে আনতে পারে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবা প্রদানের বিষয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ Tib-www.jatirkhantha.com.bdকথা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ধানমণ্ডিতে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করে টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওই গবেষণা প্রতিবেদনের নাম ছিল ‘নাগরিক সেবায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার : ভূমিকা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’। ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালে আগস্টের মধ্যে ওই গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিক সেবা সহজলভ্য করা এবং সেবাদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালে ইউনিয়ন ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে, যা ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) নামে নামকরণ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬০ শতাংশ মানুষ ওই ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জমির পর্চা উত্তোলনের আবেদনের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে জেলা পর্যায়ের ভূমি রেকর্ড রুম থেকে সেবা নিতে ৮৯ জন সেবাগ্রগিতার মধ্যে ৪৮ শতাংশেরও বেশি মানুষকে ব্যয় করতে হয়েছে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।

আরো বলা হয়, এ ছাড়া ৫৬ শতাংশ সেবাগ্রহিতাকে গড়ে ৭৩৭ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। অন্যদিকে ইউডিসি থেকে মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টা ব্যয় করতে হয়েছে, সেবামূল্য ১০০ টাকা ছাড়া আর কোনো খরচই হয়নি। আর কোনো আর্থিক লেনদেন বা ঘুষের শিকার হতে হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ধরনের চিত্র পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, উদ্যোক্তার (সেবা যারা দিচ্ছেন) আচরণে প্রায় ৮৪ শতাংশ সেবাগ্রহিতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।ধীর গতির ইন্টারনেট সংযোগ, পুরোনো কম্পিউটার, বিকল্প বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকাসহ কিছু অবকাঠামোগত দুর্বলতাও চিহ্নিত করেছে টিআইবি। ওই গবেষণার প্রতিবেদনের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘সকল পর্যায়ে ঘুষ লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে হবে। সেটা করার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি একটা বড় ব্যাপার বলে আমরা মনে করি। আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে এটা অন্যতম একটা উপায়।’ওই গবেষণা প্রতিবেদনে উপদেষ্টা হিসেবে আছেন টিআইবির নির্বাহী ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। গবেষণা ও প্রতিবেদন রচনা করেছেন টিআইবির ওয়াহিদ আলম, জুলিয়েট রোজেটি, মোহাম্মদ নূরে আলম, ফারহানা রহমান, নাহিদ শারমীন, কুমার বিশ্বজিত দাশ ও ফাতেমা আফরোজ।