• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গোয়েন্দা জালে স্মাগলার-কোটি টাকার সোনা জব্দ


প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ১৭ আগস্ট ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

 

5837304025_nএস রহমান, ঢাকা:    
এবার  হয়রত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে গোয়েন্দা জালে ধরা পড়েছে দুই স্মাগলার।তাদের দখল থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি টাকার সোনা ও আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট।কিন্তু চোর চক্রের কোন সহযোগীকে পাকরাও করতে পারেনি শুল্ক গোয়েন্দারা।
বিমান বন্দর সূত্র জানায়,
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় সোয়া কোটি টাকার সোনা, বিদেশি মুদ্রা এবং আমদানি-নিষিদ্ধ সিগারেট আটক করা হয়েছে। আজ রোববার মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক তিন ঘটনায় এগুলো আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

এর মধ্যে রয়েছে ৭৫ লাখ টাকার মূল্যের দেড় কেজি সোনা, ৩৪ লাখ টাকার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং পাঁচ লাখ টাকার সিগারেট।
সোনা আনার অভিযোগে মো. জাকির এবং বিদেশি মুদ্রা পাচারের জড়িত থাকার অভিযোগে সুশংকর মল্লিক নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
সৌদি আরব থেকে আসা জাকিরকে আজ বেলা আড়াইটার দিকে কাস্টমস হল থেকে আটক করা হয়। তাঁর প্যান্টের ভেতর থেকে ১৩টি সোনার বার পাওয়া যায়।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, জাকির বিমানবন্দরের টয়লেটের রেখে সোনাগুলো পাচার করার চেষ্টা করছিলেন।
এদিকে আজ বেলা ১১টার দিকে বিমানবন্দরে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কাউন্টার থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৪৫ কার্টন আমদানি-নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। ‘ইজি’ এবং ‘রুবি’ ব্র্যান্ডের এসব সিগারেট দুবাই থেকে আনা হয়েছিল। তবে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল জানান, পাচারকারীরা নতুন কৌশল হিসেবে এখন বিমানবন্দরের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কাউন্টারের আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্য ফেলে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে এগুলো বিমানবন্দরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে করে কুয়ালালামপুর যাচ্ছিলেন সুশংকর মল্লিক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় তাঁর শরীর ও ব্যাগে তল্লাশি করা হয়। এ সময় মল্লিকের ব্যাগ ও জুতায় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ সৌদি রিয়াল, আমিরাতের দিরহাম, মালয়েশিয়ান রিংগিত এবং সিঙ্গাপুরের ডলার উদ্ধার করা হয়। আটক এই বিদেশি মুদ্রা বাংলাদেশের ৩৪ লাখ টাকার সমপরিমাণ। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

মইনুল খান জানান, সম্ভবত এসব বিদেশি মুদ্রায় সোনা কেনার জন্য মল্লিক মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। সোনা ও মুদ্রা পাচারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।