• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

গৃহকর বাড়ালে নির্বাচন নেতিবাচক!!


প্রকাশিত: ১:০২ এএম, ১৭ নভেম্বর ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৪ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে নেতিবাচক ssssপ্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক সাংসদ। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে গৃহকর বাড়ানো নিয়ে বক্তব্য দেন তিনজন সাংসদ। রাজধানীতে গৃহকর বাড়ানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, গৃহকর হঠাৎ করে নয় গুণ বাড়ানো হলে তা মানুষ গ্রহণ করবে না। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কর বাড়বে এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনেক বছর ধরে কর বাড়ায়নি। এখন একসঙ্গে নয় গুণ বাড়ানো হলে মানুষ তা গ্রহণ করবে না। গৃহকর ৮ হাজার টাকা থেকে হঠাৎ করে ৭২ হাজার টাকা হলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হবে। এটি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা রাজনীতি করি। রাজনীতির কতগুলো সময় থাকে। সেই বিষয়টি ৩-৪ বছর আগে করা যেত, সেটা যদি সরকারের শেষ সময় এসে করে তাহলে প্রতিক্রিয়া হতে বাধ্য। মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে আমার পক্ষে সব কিছু বলা সম্ভব নয়।’

এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এ বিষয়টি মন্ত্রীসভায় আলোচনা করার অনুরোধ করেন।বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু বলেন, চট্টগ্রামেও গৃহকর বাড়ানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে মহল্লায় মহল্লায় আন্দোলন হচ্ছে। এটি একটি রাজনৈতিক সরকার।

এর আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এক বছর পর নির্বাচন। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বেশি দাম, বাড়তি কর নিয়ে জনগণের সামনে যেতে হবে। রাজনৈতিক সরকারকে সঠিক রাজনৈতিক বিবেচনা করতে হবে। এ বিষয়গুলো স্পর্শকাতর। নির্বাচনের সময় সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বাবলুর বক্তব্যের পর ডেপুটি স্পিকার বলেন, নির্বাচনের আগে বা পরে সেটা বিষয় নয়, ১০ বছর পর একবারে ১০ গুণ কর বাড়ানো গ্রহণযোগ্য নয়। শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। অবশ্যই সরকার এই বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে তিনি আশা করেন।সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, মেয়র, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কর বাড়ান। কিন্তু জনগণকে জবাবদিহি করতে হয় সাংসদদের।

আরও দুই এক বছর আগে গৃহকর বাড়ানো হলে সমস্যা হতো না। নির্বাচনের এক বছর আগে গৃহকর বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। বর্তমান সরকারকে জনবান্ধব সরকার আখ্যা দিয়ে বিরোধী দলের এই সদস্য বলেন, অনতিবলম্বে গৃহকর সহনীয় পর্যায়ে আনা দরকার।বাবলার বক্তব্যের পর স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, গৃহকর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয়। এটি চূড়ান্ত হলে নোটিশ দিয়ে বা পয়েন্ট অব অর্ডারে এ বিষয়ে আলোচনা করা যাবে।