• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

গুলশান অভিমুখে কোকোর লাশ


প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ২৭ জানুয়ারী ১৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৭ বার

koko=www.jatirkhantha.com.bd বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।

এর আগে তার লাশটি মালয়েশিয়া ইউনিভার্সিটি হসপিটালে অবস্থান করছিলো। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে এমএইচ ১০২ ফ্লাইটে মরদেহবাহী বিমানটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরের ৮ নাম্বার গেট দিয়ে কোকোর লাশ বের হওয়ার সময় বিএনপির সিনিয়র নেতারা তার লাশ গ্রহন করেন। মরদেহটি বিমানবন্দরে ১০-১৫ মিনিট অবস্থান করে গুলশান কার্যালয়ে পথে রওনা করে।

koko-deadbody-www.jatirkhantha.com.bdমরদেহের সঙ্গে রয়েছে তার স্ত্রী, সন্তান, মামা শামীম এস্কান্দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বিমানবন্দরে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ গ্রহণ করতে উপস্থিত হয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

প্রথমে কোকোর মরদেহ গুলশান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর বিকেল ৪টায় নেয়া হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। বাদ আসর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষে বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

বিএনপির গুলশান কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল কোকোর মরদেহ গ্রহণ করবেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে কোকোর মরদেহ বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে।

গুলশান কার্যালয়ে শুধুমাত্র পারিবারিক সদস্যরাই কোকোর মরদেহ দেখতে পারবেন। বিকেল ৪টার মধ্যে কোকোর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে এবং বাদ আসর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

পরে কিছুক্ষণ সর্ব সাধারণের দেখার জন্য কোকোর মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে রাখা হবে। শেষে বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

নজরুল ইসলাম বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তার সন্তান হিসেবে ওখানে দাফন তার (কোকো) প্রাপ্য। আমরা লিখিতভাবে সেখানে দাফনের অনুমতি চেয়েছি। আশা করি, কোকোর মরদেহ আমরা সেখানে দাফন করতে পারব।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) মালয়েশিয়া অবস্থানকালে আরাফাত রহমান কোকো আকস্মিকভাবে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন।