• শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

গরুর নাড়িভুঁড়ি, শিং রপ্তানিতে প্রণোদনা


প্রকাশিত: ৭:৫১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩০৯ বার

 

দিনা করিম : এখন থেকে ফার্নিচার, প্লাস্টিক দ্রব্য, গরু–মহিষের নাড়িভুঁড়ি, শিং, শস্য ও শাকসবজির বীজ এবং পাটকাঠির 11কার্বন, সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে উৎপাদিত ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত বিভাগ এ–সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এর ফলে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজ করে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এ সহায়তা পরিশোধ্য হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , এখন থেকে ফার্নিচার রপ্তানির বিপরীতে ১৫ শতাংশ, প্লাস্টিক দ্রব্য ও গরু–মহিষের নাড়িভুঁড়ি রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ, সাভারের ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানির বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে রপ্তানি ভর্তুকি দেওয়া হবে। এ ছাড়া শস্য ও শাকসবজির বীজ ও পাটকাঠির কার্বন রপ্তানির বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে রপ্তানি ভর্তুকি বা প্রণোদনা দেওয়া হবে।

সেই সঙ্গে ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২ শতাংশ বিশেষ সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তার হার সাড়ে ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ এবং জাহাজ রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি ভর্তুকির হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং আলু রপ্তানি খাতে ভর্তুকির হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা এবং এ খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা আগের মতো ৪ শতাংশ থাকবে। বস্ত্র খাতে নতুন বাজার সম্প্রসারণে ৩ শতাংশ সহায়তা, হাতে ​তৈরি পণ্য (হোগলা, খড়, ছোবড়ার পণ্য) ও হালকা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, কৃষিপণ্য ও হালাল মাংস রপ্তানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ বহাল আছে। এ ছাড়া হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিতে বরফ আচ্ছাদনের হার ৭ থেকে ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য মাছের ক্ষেত্রে বরফ আচ্ছাদনের হার ২ থেকে ৫ শতাংশ এবং বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্য রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকি পণ্যভেদে ৫ থেকে ২০ শতাংশ বহাল আছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনে বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে কোনো অর্থবছরে সাড়ে ৩৫ লাখ ডলারের বস্ত্র বা সামগ্রী রপ্তানি করলে এবং বৃহৎ কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন না হলে পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে।