• বুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪

এমআরপি পাসর্পোট বাধ্যকতা-॥ হজযাত্রীরা মহা সংকটে; শংকায় হাব সভাপতি বাহার


প্রকাশিত: ৫:১৬ এএম, ২৮ মে ১৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৯ বার

 

শফিক আজিজি: ২৮ মে ২০১৪, ঢাকা:

এমআরপি পাসপোর্টের বাধ্যবাধকতা নিয়ে এবার বেশ সংকটে পড়েছেন হজযাত্রীরা। এবার পবিত্র হজ পালনে এমআরপি পাসপোর্টের বাধ্যবাধকতা থাকায় হজযাত্রীর সংখ্যা কমে যেতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হাব।সংগঠনটির সভাপতি ইব্রাহিম বাহার অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন, ২১ মে তাঁরা এমআরপি সংক্রান্ত নির্দেশনা পেয়েছেন।বিষয়টি সব হজ এজেন্সিকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এত অল্প সময়ে এমআরপি পাসপোর্ট হজযাত্রীরা পাবেন কিনা তা নিয়ে।তিনি জানান, গতকাল পর্যন্ত মাত্র তিন হাজার হজযাত্রী টাকা জমা দিয়েছেন।এ অবস্থায় তিনি হাবের পক্ষ থেকে অন্তত এ বছর পুরনো পাসপোর্টে হজে যাওয়ার সুযোগ দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জোর তদবির করতে বলেছেন।এটা না পারলে হজের টাকা জমা দিতে অন্তত ১০ দিন সময় বাড়িয়ে নেয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত বদলানোর এবং টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই৷ যাঁরা এখনো এমআরপি করাননি, তাঁরা পুরোনো পাসপোর্টে টাকা জমা দিতে পারবেন৷ পরে এমআরপি নেবেন৷ এ নিয়ে সমস্যা হবে না৷
সৌদি সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জন হজে যাবেন। উভয় মাধ্যমে হজের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজ দুই লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৬ টাকা।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাব সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব দূতাবাসকে জানায়, এমআরপি ছাড়া এবার কেউ হজে যেতে পারবেন না। ভিসা-প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করতেই সৌদি কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নিয়েছে৷ হাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সব হজ এজেন্সিকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
হাবের সভাপতি গতকাল  জানান, ২১ মে এমআরপি-সংক্রান্ত নির্দেশনা পেয়ে তা সব হজ এজেন্সিকে জানানো হয়েছে৷ কিন্তু হজযাত্রীরা এ নিয়ে সংশয়ে থাকায় গতকাল পর্যন্ত মাত্র হাজার তিনেক লোকের টাকা জমা হয়েছে৷ তাই হাবের পক্ষ থেকে অন্তত এ বছরের জন্য পুরোনো পাসপোর্টে হজে যাওয়ার সুযোগ দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে৷ তা না হলে টাকা জমা দেওয়ার সময় ১০ দিন বাড়ানো হোক৷
হাব বলছে, হজযাত্রীদের বেশির ভাগই বৃদ্ধ৷ দ্রুত এমআরপি করা, এ জন্য লাইন ধরা, আঙুলের ছাপ দেওয়া তাঁদের জন্য বেশ কষ্টকর। তাই হজযাত্রীদের দ্রুত এমআরপি পাওয়ার জন্য পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করা উচিত৷
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সৌদি সরকার সবার জন্যই এমআরপির নিয়ম করায় এটি বদলানোর সুযোগ নেই। রজব মাসের শেষ দিনের মধ্যে হজযাত্রীদের তথ্য সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর বাধ্যবাধকতার কারণে টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই এ সময় বাড়ানোরও সুযোগ নেই।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ১৫ দিন আগেই এমআরপির বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে৷ তাই সবারই এটি জানার কথা৷ এর পরও এখনো যাঁরা এমআরপি করাননি, তাঁরা পুরোনো পাসপোর্টেই টাকা জমা দিতে পারবেন, পরে এমআরপি নেবেন৷ এমআরপির আবেদনের রসিদ দেখিয়েও টাকা জমা দেওয়া যাবে৷ হজযাত্রীদের এমআরপি পেতে যাতে সমস্যা না হয়, পাসপোর্ট অধিদপ্তর সেদিকে সতর্ক আছে৷
জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন জানান, হজযাত্রীরা এমআরপি করাতে এলে তা দ্রুত দিতে সারা দেশের সব পাসপোর্ট কার্যালয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যাঁদের পুলিশ প্রতিবেদন লাগবে না, তাঁরা দু-এক দিনের মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছেন। আর যাঁদের পুলিশ প্রতিবেদন লাগবে, সে ক্ষেত্রে প্রতিবেদন পেলেই পাসপোর্ট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি জানান, হজযাত্রীদের এমআরপির জন্য পাসপোর্ট কার্যালয়ে আলাদা কাউন্টার করা না হলেও হজের জন্য পাসপোর্ট করাবেন জানালে সরাসরি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন৷ তাঁদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷