• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

এবার ট্রাফিক কর চাই বহুতল ভবন নির্মাণে


প্রকাশিত: ২:৫০ এএম, ২৪ এপ্রিল ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৭ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :  ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) আওতাধীন এলাকায় অর্থাৎ বৃহত্তর dhaka.www.jatirkhantha.com.bdঢাকায় ১০ তলার চেয়ে উঁচু ভবন নির্মাণে ‘ট্রাফিক সার্কুলেশন কর’ দিতে হবে। ভবনের সর্বমোট আয়তন ৮০০ বর্গমিটারের কম হলে কর দিতে হবে চার হাজার টাকা। ৩০ হাজার বর্গমিটারের বেশি হলে কর লাগবে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা।

রোববার ডিটিসিএ পরিচালনা পর্ষদের নবম সভায় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। সভায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রস্তাবিত ফকিরাপুল থেকে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়। ঢাকায় গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পরিবর্তন করে সাতটি কোম্পানির মাধ্যমে চার হাজার বাস চালানোর প্রস্তাব দেয় উত্তর সিটি করপোরেশন।

33সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক, দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন, সড়ক পরিবহন সচিব এম, এ, এন, ছিদ্দিক, সেতু সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহমদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

সভায় বৃহত্তর ঢাকায় নতুন আবাসিক প্রকল্প অনুমোদনে প্রতি একরে সাড়ে তিন হাজার টাকা ট্রাফিক ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাব করে ডিটিসিএ। ভবনের ক্ষেত্রে আয়তন অনুসারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়।

১০ তলার চেয়ে উঁচু ভবনের আয়তন হিসাব করা হবে, প্রথম তলা থেকে সর্বোচ্চ তলা পর্যন্ত মেঝের মোট আয়তনের যোগফল। এক হাজার বর্গমিটার থেকে দেড় হাজার বর্গমিটার আয়তনের ভবন নির্মাণে কর দিতে হবে সাড়ে আট হাজার টাকা। আয়তন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করও বাড়বে।

এ প্রস্তাবে ভিন্ন মত পোষন করেন দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে ব্যক্তি ১০ তলা ভবন বানাতে পারেন, তার জন্য এই ট্যাক্স বেশি নয়।’ পরে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়।

ফকিরাপুল থেকে চুনকুটিয়া ফ্লাইওভার : রাজউক প্রস্তাবিত রাজধানীর শান্তিনগর থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত ফ্লাইওভার প্রকল্প রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার প্রণীত মহাপরিকল্পনায় নেই। সংশোধিত মহাপরিকল্পনাতেও (আরসিটিপি) নেই। তাই রাজউকের ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পটি এতদিন অনুমোদন পায়নি।

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট-৩ (বিআরটি-৩) প্রকল্পের সঙ্গেও ফ্লাইওভারের অ্যালাইনমেন্টটি সাংঘর্ষিক। তবে ডিটিসিএ’র সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে। অবশ্য শান্তিনগর নয়- ফকিরাপুল থেকে বিজয়নগর, বাবুবাজার হয়ে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া পর্যন্ত ফ্লাইওভারটি নির্মিত হবে। আগের প্রস্তাব অনুযায়ী, ফ্লাইওভারটি কদমতলীতে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

সভা শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য বাড়ছে। কদমতলী ইন্টারসেকশন থেকে ৬৬৪ মিটার দক্ষিণে চুনকুটিয়া ইন্টারসেকশন ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। তবে ফ্লাইওভারটি নির্মাণের সময়ে উন্নয়ন যন্ত্রণা যেন জনদুর্ভোগে পরিণত না হয়, সেজন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।’