• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

এনআরবিসি’তে ৭০১ কোটি টাকা জালিয়াতি


প্রকাশিত: ৩:৩৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৩ বার

এস রহমান :  এনআরবিসি ব্যাংকে ৭০১ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও দুর্নীতি ধরা পড়লেও সাবেক এমডি দেওয়ান মুজিবর রহমানকে পাকরাও না করে তাকে তিন মাসের ছুটিতে NRBC-Bankপাঠানো হয়েছে। ওই পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিএমডি কাজী মো. তালহাকে।

ঋৃণ জালিয়াতির পরও ব্যাংকটিতে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রী মহল এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এনিয়ে ব্যাংকটির উর্দ্বতণ কর্মকর্তারা কোন তথ্য দিতে চাচ্ছেন না।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে ২০১৬ সালে এনআরবিসির ৭০১ কোটি টাকা ঋণে গুরুতর অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি বছরের ২০ মার্চ ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও এমডির কাছে পাঠানো পৃথক নোটিশে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আমানতকারীদের স্বার্থে ও জনস্বার্থে এনআরবিসি ব্যাংক চালাতে ব্যর্থ হয়েছে ফরাছত আলীর নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ।

ব্যাংকটিতে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এমডি ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি তাঁরা গুরুতর প্রতারণা ও জালিয়াতি করেছেন, যা ফৌজদারি আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয়। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার রাতে গভর্নর ফজলে কবির এমডি দেওয়ান মুজিবর রহমানকে অপসারণ করেন।

এদিকে এনআরবি ব্যাংক গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা করেছিল, তাতেই গলদ ছিল বলে দাবি করেছেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান তমাল এস এম পারভেজ ।

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের নতুন পর্ষদ বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে গিয়ে তিন ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে তমাল এস এম পারভেজ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তমাল এস এম পারভেজ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক নিয়ে যে সমস্যা ধরেছে, তা আমাদের নজরে আসেনি। পর্ষদ সদস্য হয়েও আমরা তা জানতে পারিনি। এখন জেনে বিষয়গুলোর সমাধান করা হবে।

গত রোববার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এক জরুরি পর্ষদ সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে পরিবর্তন আনা হয়।

এ ছাড়া ব্যাংকটির সব কমিটির চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেছেন। ওই সভায় পদত্যাগ করা পর্ষদ ও নতুন পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ফরাছত আলীকে সরিয়ে নতুন দায়িত্ব পান তমাল এস এম পারভেজ। ভাইস চেয়ারম্যান তৌফিক রহমান চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম, নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান নুরুন নবী ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুনসেফ আলীকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।