• বুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪

উয়েফালিগ মাত করছে বাংলাদেশি রেশমিন।


প্রকাশিত: ১২:০৬ এএম, ২৬ আগস্ট ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৪ বার

স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টার :  উয়েফালিগ মাত করছে বাংলাদেশি রেশমিন। ২০১৭-১৮ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বের ড্র অনুষ্ঠান rasmin-www.jatirkhantha.com.bdউপস্থাপিকা রেশমিন চৌধুরী’র প্রশংসা করছিলেন স্বয়ং লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, জিয়ানলুইজি বুফন, লুকা মডরিচ, লিকে মার্টেনসরা। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ক্রীড়া সাংবাদিক।

এ বছর উয়েফা সেরা স্ট্রাইকার হয়েছেন রোনালদো, সেরা গোলরক্ষক বুফন, সেরা ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস ও সেরা মিডফিল্ডার লুকা মডরিচ। আর বর্ষসেরা নারী ফুটবলার হয়েছেন লিকে মার্টেনস। সবার নাম ঘোষণা তার মুখ দিয়েই হয়েছে। অনুষ্ঠানে তাদের সঙ্গে কৌতুক, খুনসুটিও করতে দেখা গেছে তাকে।

rasmin-www.jatirkhantha.com.bd.1স্পেনের সংবাদমাধ্যমের খবর, রোনালদোর অনুরোধেই এবারের অনুষ্ঠানে উপস্থাপিকা হিসেবে ৩৯ বছরের রেশমিনকে নেয় উয়েফা।
রেশমিন বিবিসি ও বিটি স্পোর্টসে ক্রীড়া সাংবাদিক ও উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। কাভার করেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগ।

ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে ভীষণ সফল রেশমিন ১৯৭৭ সালে লন্ডনে প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারে জন্ম নেন। ইংল্যান্ডের ওডফোর্ড কাউন্টি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শৈশব ও কৈশোরের পাঠ চুকান। এরপর বাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান (অর্থনীতিও অন্তর্ভুক্ত ছিল) স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে হার্লো কলেজে সংবাদপত্র সাংবাদিকতার ওপর স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। পড়াশোনাকালেই রয়টার্স টিভির নিউজ হেল্প ডেস্ক অপারেটর হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে চাকরি করেন ব্লুমবার্গ, আইটিএন, রিয়াল মাদ্রিদ টিভিতেও।rasmin-www.jatirkhantha.com.bd.2

রেশমিন কথা বলেন ইংরেজি ভাষায়। তবে তার মাতৃভাষা বাংলা। এ দুই ভাষা ছাড়াও স্প্যানিশ ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় স্বতস্ফূর্তভাবে কথা বলতে সক্ষম তিনি। ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে লন্ডন অলিম্পিকও কাভার করেছেন। ক্যারিয়ারে পেয়েছেন অসংখ্য স্বীকৃতি। ২০১৫ সালে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের জরিপ করা শীর্ষ ৫০ ক্ষমতাধর নারী ক্রীড়া সাংবাদিকের তালিকায় ছিলেন। একই বছর বিট্রিশ এশিয়ান ট্রাস্টের অ্যাম্বাসেডর হন। ওই বছরই এশীয় ফুটবল অ্যাওয়ার্ডে মিডিয়া পুরস্কার জেতেন।

রেশমিন দুই সন্তানের জননী। সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি একজন সংগীতশিল্পীও। সঙ্গীতশিল্পী নিতিন সাওহনের সঙ্গে কাজ করেছেন। দ্য মহাভারত প্রোডাকশের হয়ে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন সফরে গান পরিবেশন করেছেন। ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নেমসেইক’ ছবিতে একটি গানে কন্ঠ দেন।