• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

‘উস্কানি দিয়ে যুদ্ধ বাঁধানোর চক্রান্ত হয়েছিল’


প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ৭ অক্টোবর ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪০ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  রোহিঙ্গা ইস্যুতে পরিস্থিতিকে ভিন্ন দিকে নিতে উস্কানি দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধ PM--www.jatirkhantha.com.bdবাধানোর চক্রান্ত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দলের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তার বোন শেখ রেহানার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সে বলেছিল ১৬ কোটি লোককে ভাত খাওয়াচ্ছ, আর সাত-আট লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারবা না! এই কথাটা আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল। এছাড়া নেতাকর্মীরাও মানবিক দিক বিবেচনায় পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। সব মিলিয়ে আমরা পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে পরিস্থিতিকে ভিন্ন দিকে নিতে উস্কানি দেয়া হয়েছে। তখন একটা যুদ্ধ বেধে যেতো। আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সেনাবাহিনী ও বিজিবিসহ সকল বাহিনীকে সতর্ক করেছি। আমি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কিছু করা যাবে না। সেখানে বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিপন্ন মানবতার বাতিঘর’ অভিহিত করেন।

আমাদের বিমানবন্দর প্রতিনিধি  জানান,  আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল  প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শনিবার ব্যাপক গণসংবর্ধনা দেয়া হবে। এজন্য সকাল থেকেই ছিল নেতা কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। নেতা কর্মীরা রাস্তার দু’ধারে দারিয়ে নেত্রীকে সম্বর্ধনা দেন।

তবে নেতাকর্মীরা যেন রাস্তার দুই পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থেকেই শুভেচ্ছা জানান এবং এতে যেন যানজট না হয় তারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগদান শেষে শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মানবিক আচরণের জন্য ব্রিটিশ পত্রপত্রিকা শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ আখ্যায়িত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক (খালিজ টাইমস) রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি মানবিক আবেদনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তাঁকে প্রাচ্যের নতুন তারকা হিসেবে অভিহিত করেছে। এ

ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা এবং তাদের ফেরত নিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তাঁর দেয়া ৫ দফা প্রস্তাব বিশ্ব নেতাদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পায়। এসব কারণে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান। ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় বক্তব্য দেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা ছাড়াও বেশ কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ৫ দফা প্রস্তাব বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

সাধারণ অধিবেশন শেষে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে ভার্জিনিয়ায় যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি হাসপাতালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার হয়। সেখান থেকে শেখ হাসিনা গত ৩ অক্টোবর লন্ডনে যান।