• শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইউনাইটেড এয়ারের ঘটনা তদন্ত করবে বিএসইসি


প্রকাশিত: ৭:০৩ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০২ বার

 

UUUUUUUUস্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের গত কয়েক দিনের ঘটনা তদন্ত করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে আজ রোববার তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, বিএসইসির পরিচালক আবুল কালামকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপপরিচালক নজরুল ইসলাম ও উপপরিচালক আল মাসুম মৃধা। কমিটিকে ২১ কার্যদিবসের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে গত দুই কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারে অনাকাঙ্ক্ষিত উত্থান-পতন ঘটেছে শেয়ারবাজারে। বিমান উড্ডয়ন বন্ধের ঘোষণায় বৃহস্পতিবার দিনের সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম। আর উড্ডয়ন শুরুর ঘোষণায় আজ ঘটেছে ঠিক উল্টোটি। আজ তাদের প্রতিটি শেয়ার লেনদেনের শুরুতেই দিনের সর্বোচ্চ স্তরে উঠে যায়।

দিন শেষে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম এক টাকা বা ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁডায় ১১ টাকা ৯০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার এটির প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমেছিল। বিমান চলাচল বন্ধের ঘোষণায় আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা ওই দিন সকাল থেকে শেয়ার বিক্রির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আর আজ ছিল তার উল্টো চিত্র। লেনদেনের শুরু থেকে শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এটির দাম সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায়।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে যেগুলোর বাজারদর ১০০ টাকার কম সেসব শেয়ারের দামের ওঠানামার ওপর প্রতিদিন ১০ শতাংশের সীমা আরোপিত (সার্কিট ব্রেকার) থাকে। অর্থাৎ এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম একদিনে ১০ শতাংশের বেশি ওঠানামা করতে পারবে না।

এ ছাড়া সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দেওয়া চিঠির জবাবে উড্ডয়ন বন্ধের ব্যাখ্যা দিয়েছে ইউনাইটেড এয়ার কর্তৃপক্ষ। এতে ২৪ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
২০০৭ সালে চালু হওয়া ইউনাইটেড এয়ার ২০১০ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ৫৬ কোটি ৮০ লাখ শেয়ারের মধ্যে ৫২ কোটি ৬৫ হাজারের বেশি শেয়ারের মালিক সাধারণ বিনিয়োগকারী। উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে মাত্র চার কোটি ৮০ লাখের মতো শেয়ার।