• শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘আসল বিএনপি’ নামধারী কামরুল একটা ধান্ধাবাজ ও কিছু টাকা কামাতে নেমেছে’


প্রকাশিত: ৭:৫০ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২৭ বার

প্রিয়া রহমান.ঢাকা:

kamrul+hasan+nasim_www.jatirkhantha.com.bd

বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালামকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছে ‘আসল বিএনপি’। আগামী ২৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পদত্যাগের দাবিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ‘আসল বিএনপি’।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক ‘ব্যতিক্রমী’ অনুষ্ঠানে সালামকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন ‘আসল বিএনপির’ মুখপাত্র কামরুল হাসান নাসিম। ওই অনুষ্ঠানে কামরুল হাসান নাসিম ও আবদুস সালামের কথোপকথনের একটি অডিও সিডি বাজানো হয়। পরে ওই অডিও সিডি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়। তবে আবদুস সালাম ওই ফোনালাপের কথা অস্বীকার করেছেন।

বিএনপি নেতা আবদুস সালাম বলেছেন, ‘আসল বিএনপি’ নামধারী কথিত কামরুল হাসান নাসিম আসলে একটা ধান্ধাবাজ। ও সরকারের গোলাম হয়ে নিজের আখের গোছাতে এবং কিছু টাকা কামাতে নেমেছে বিএনপির পেছনে। গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ওর অবৈধ কাজে ওকে সাহায্য করে বিএনপির ইমেজ নষ্ঠ করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে।

কামরুল হাসান নাসিম বলেন, ‘আসল বিএনপির মহাসচিব হিসেবে সম্ভবত আবদুস সালাম দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এ বিষয়টি আগামী কাউন্সিলে নির্ধারণ হবে।’ আজকের অনুষ্ঠানে আবদুস সালাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার নাম উল্লেখ করে দাবি করা হয়, তাঁরা ‘আসল বিএনপির’ সঙ্গে আছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা আবদুস সালামের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন। তিনি কৌশলগত কারণে অস্বাকীর করতে পারেন।’
‘আসল বিএনপির’ ডিএসসিসির মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণাকে ভুয়া বলে দাবি করেছেন আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘কে ওই নাসিম? সে একটা ভুয়া লোক। দেশের বর্তমান ক্রাইসিস সময়ে সরকারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে অনেকেই সুযোগ খোঁজে। ডিসিসিতে কে প্রার্থী হবে, তার নির্দেশনা দেবেন খালেদা জিয়া। অন্য কেউ নয়। ওর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’

কামরুল হাসান নাসিম চিৎকার করে খালেদা-তারেকের কোনো বক্তব্য বা যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিনের কোনো বক্তব্য প্রচার না করতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে অবৈধ খালেদা-তারেকের নির্দেশে যেকোনো বিবৃতি প্রচার করবে, তা যেন সংবাদমাধ্যম প্রচার না করে।’ তিনি ঘোষণা করেন, ‘২৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে ‘আসল বিএনপি’র কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই কাউন্সিলে দলের যে কমিটি গঠন করা হবে, তার সঙ্গেই জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সংলাপ হবে। অবৈধ খালেদা-তারেকের নেতৃত্বাধীন বিএনপির সঙ্গে নয়।’

কামরুল ইসলাম নাসিম তাঁর বক্তব্যের পুরো সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সমালোচনা করেন। ওই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে শুধু তিনিই বক্তব্য দেন। তবে সংগঠনটির ‘ক্রান্তিকালীন সদস্য’ আবদুল মান্নানসহ তাঁর ওই ‘ব্যতিক্রমী’ অনুষ্ঠানে ৪০ জনের মতো কিশোর উপস্থিত ছিল। তাঁদের কয়েকজনের কাঁধে স্কুলের ব্যাগও দেখা যায়।

কে এই কামরুল হাসান নাসিম

10295343_671702929561435_6559275216794221231_o

ষ্টাফ রিপোর্টার: কামরুল হাসান নাসিম এক সময় আওয়ামী লীগ করতেন।পরবর্তীতে নাম সর্বস্ব দল গড়ব বাংলাদেশের মুখপাত্র হন কামরুল হাসান নাসিম।
কে এম ওবায়েদের স্ত্রী শাহেদা ওবায়েদ এবং কে এম ওবায়েদের মেয়ে শ্যামা
ওবায়েদ মা মেয়ে দুই জনই একই আসন থেকে বিএনপির নমিনেশন চান।কিন্তু, শ্যামা
ওবায়েদ নমিনেশন পান, অন্য দিকে শাহেদা ওবায়েদ বিএনপির নমিনেশন লাভে
ব্যর্থ হোন।তখনই শাহেদা ওবায়েদ গড়ব বাংলাদেশ নামে একটি নাম সর্বস্ব প্রেস
রিলিজ নির্ভর দল করে বর্তমান সরকার থেকে নানা সুযোগ সুবিধা নিতে থাকেন।আর
এই নাম সর্বস্ব দলের মুখ পাত্র হিসেবে নিয়োগ দেন কামরুল হাসান
নাসিমকে।যাকে মূলত আওয়ামী লীগের লবিং -এ কাজ করানোর জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
সেই কামরুল হাসান নাসিমকে প্রধান সম্পাদক করে জননেতা ডট কম নামে একটি
সাইট খুলেন।যার হুইজ প্রাইভেসী প্রটেকশান করা আছে।মূলত বাংলা চটি সাইট
গুলোকেই দেখা যায় হুইজ প্রাইভেসী প্রটেকশান দেওয়া।সেই সাইটে কোন
যোগাযোগের ঠিকানা দেওয়া নেই। সবচেয়ে মজার ব্যাপার চিফ এডিটর ছাড়া আর কার নামও দেওয়া নেই।এমন কি এডিটরের নামও নেই। আর তথাকথিত নিউজ সাইটে মূলত:
কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া বিএনপির নেতাদের নামে সেক্স স্কেন্ডাল ছাপে।এমন কি
সাবেক প্রধাণমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামেও নানা সময় নানা সেক্স স্কেন্ডাল
ছেপেছে।যা সরাসরি একটি সাইবার ক্রাইম।এই ব্যাপারে
যোগাযোগ করা হলে এসি, সাইবার ক্রাইম বলেন; জননেতা ডট কম সম্পর্কে আমরা
অবগত।সাবেক প্রধাণমন্ত্রী সম্পর্কে আজে বাজে তথ্য পরিবেশন করা সাইবার
ক্রাইমের আওতায় পড়ে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত
করছি।তিনি আরো বলেন, সাইবার ক্রাইমে মিশিন ডিটেক্টটা হলো সবচেয়ে বড়
প্রমাণ।আমরা মিশিন ডিটেক্টেই কাজ করছি।যখন কামরুল হাসান নাসিম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলো, তিনি বলেন, আমরা আসলে এখনও তদন্তের পর্যায়ে আছি।তাই
এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না।
জননেতা ডট কমে যেহেতু যোগাযোগের কোন নাম্বার বা ঠিকানা দেওয়া নেই, তাই এই ব্যাপারে জননেতা ডট কমের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নৈপথ্যে শাহেদা?
জননেতা ডট কমের নৈপথ্যে শাহেদা ওবায়েদ।এমনই অভিযোগ পাওয়া যায় একাধিক
ভূক্তভূগীর কাছ থেকে।স্বাভাবিক ভাবেই গড়ব বাংরাদেশের মুখপাত্র যদি কোন
সাইট চালায়,তার সাথে শাহেদার সম্পর্ক স্বাভাবিক। কথিত আছে,তিনি কামরুল

https://www.facebook.com/kamrul.nasim.9

হাসান নাসিমকে বিয়ে করে তার নামের শেষে ওবায়েদ ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন।এই বিষয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।যদিও তিনি তা অস্বীকার
করেছেন।তারপরও তাদের দুইজনকেই সব সময় এক সাথে দেখা যায়।