• বৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল ২০২৪

‘আমি অসুস্থ নই কারো সঙ্গে বিরোধও নেই’


প্রকাশিত: ১১:০৯ পিএম, ১৩ অক্টোবর ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৩ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে তাঁর সরকারি বাসভবন ত্যাগ sinha-go-www.jatirkhantha.com.bdকরেছেন। আজ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতি তাঁর বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন।

প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনের কাকরাইল মসজিদ সংলগ্ন ফটকের সামনে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি পৌঁছার পর তিনি নিজেই গাড়ি থেকে নামেন। গাড়ির ভেতরে প্রধান বিচারপতির স্ত্রীকে দেখা গেছে। গাড়ি থেকে নামার পর প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক থেকে দুই মিনিট কথা বলেন। পরে গাড়িতে ওঠেন। এর পরপরই তাঁর গাড়ি প্রধান ফটক ছেড়ে যায়।

এসময় তিনি বলেন,‘আমি অসুস্থ নই, কারো সঙ্গে বিরোধও নেই। আমার ধারণা, সরকারকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আমি সাময়িকভাবে যাচ্ছি। আবার ফিরে আসব। তিনি আরো বলেন, আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়ন।

আজ রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে স্ত্রী সুষমা সিনহার সঙ্গে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসে করে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার কথা প্রধান বিচারপতির।শাহজালাল বিমানবন্দরের সহকারী পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এসকিউ ৪৪৭ নম্বর ফ্লাইটে করে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ছয়টা দিকে তিনি সিঙ্গাপুরে পৌঁছাবেন। সেখানে ঘণ্টাখানেক যাত্রা বিরতির পর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধান বিচারপতি।

গত পয়লা অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটির কথা জানিয়ে চিঠি দেন। এখন তাঁর ছুটি ৯ দিন বাড়িয়ে ১০ নভেম্বর করা হয়েছে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১ আগস্ট প্রকাশিত হয়। ওই দিনই পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। রায় প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংক্ষুব্ধ হয়। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থী আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও তোলেন।

১৪ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং তার কিছু পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বিচারিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংসদে ওই দিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা হয়, যাতে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আদালত তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে সংসদে পাস হওয়া সংবিধানের সংশোধনী বাতিল করেছে।