• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় মতপ্রকাশের পথ রুদ্ধ হবে না’


প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ১৯ মে ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৫ বার

স্টাফ রিপোর্টার :   আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা সহজ করে নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটিজ আইনে anisul-www.jatirkhantha.com.bdঅন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারার মাধ্যমে স্বাধীন মতপ্রকাশের পথ আর রুদ্ধ হবে না। এজন্য এ ধারা সহজ করে ডিজিটাল সিকিউরিটিজ অ্যাক্টে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।সচিবালয়ে জেলা জজদের পরিবহনের জন্য গাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গত বছরের ২২ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৬ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি এখন ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এরপর খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঠানো হবে।

আনিসুল হক বলেন, আমরা যেটা করার চেষ্টা করব- ৫৭ ধারাকে আরও বিশদভাবে সিমপ্লিফাই করে বোধগম্য করে একটা ধারা হিসেবে আইনে রূপান্তর করা হবে এবং এটা যেন মিসইউজ করা না যায় ইমপ্লিমেন্টশনের জায়গায় সেটা আমরা চেষ্টা করব। নতুন আইন ৫৭ ধারা স্থানান্তর হলে এ ধারার মামলাগুলোর কী হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইসিটি অ্যাক্টে যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলো চলমান ও তদন্তাধীন আছে।

আইসিটি অ্যাক্টে যেভাবে মামলা করার নিয়ম ও তদন্ত করার নিয়ম, আইনের সে বিষয়গুলো যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মানা হয়, আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি ৫৭ ধারা মিসইউজের অবকাশ নেই। যদি মিসইউজ করা হয় আপনারা আমাকে বলবেন আমি ব্যবস্থা নেব। আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন এ আইনের খসড়ায় মন্ত্রিপরিষদ ইতিমধ্যেই নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় তা যাচাই-বাছাই করে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে আইনটি চূড়ান্ত করবে।

১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকার বিশেষ ক্ষমতা আইন করেছিল। পরে তা রাজনৈতিক হয়রানিতে অপব্যবহার হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ আইনের কার্যকারিতা নেই। এভাবেই এক সময় ৫৭ ধারার আর অপব্যবহার হবে না।