• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

অভ্যন্তরীণ রুটে অর্ধেক ভাড়ায় বিমান


প্রকাশিত: ৭:৩৯ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৫ বার

biman_bangladesh_airlines-বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা : অভ্যন্তরীণ (ডমেস্টিক) রুটে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর থেকে অর্ধেক ভাড়ায় টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বুধবার থেকে পাঁচটি অভ্যন্তরীণ রুটে টিকেট বিক্রি শুরু করেছে বিমান। প্রায় আড়াই বছর পর আগামী ৬ এপ্রিল থেকে চালু হতে যাচ্ছে, বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। ওইদিন এক সঙ্গে পাঁচটি অভ্যন্তরীণ রুটে পাখা মেলবে বিমান। গত ১৯ ফেব্র“য়ারি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট ফের চালুর ঘোষণা দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

বিমানের সেলস অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ভাড়া হবে মাত্র ৪ হাজার টাকা। ঢাকা-কক্সবাজার ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ঢাকা-সিলেট ৩ হাজার ২০০ টাকা, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-সৈয়দপুর ও ঢাকা-যশোর রুটের ভাড়া ৩ হাজার ৫০০ টাকা, ঢাকা-বরিশাল ৩ হাজার টাকা, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ২ হাজার ২০০ টাকা। ট্যাক্সসহ ওয়ানওয়ে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিমান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে বিমান যে ভাড়া ঘোষণা করেছে, তা দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা সবগুলো বেসরকারি এয়ারলাইন্সের প্রায় অর্ধেক।

বিমানের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসব রুটগুলোতে বিমানের ভাড়া আরো কম ছিল। কিন্তু বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর চাপে পরবর্তীতে বিমান কর্তৃপক্ষ ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া বিমান ভাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু একই চাপে এ ক্ষেত্রে অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে।

জানা যায়, সপ্তাহে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ৬টি ফ্লাইট, ঢাকা-যশোরে ৫টি, ঢাকা-রাজশাহীতে ৩টি, ঢাকা-সৈয়দপুর ও ঢাকা-বরিশালে ২টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স। এর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে সপ্তাহে ২৫টি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে কানেক্টিং ফ্লাইট যথারীতি চালু থাকবে। প্রয়োজন হলে এসব কানেক্টিং ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো হবে। অভ্যন্তরীণ এসব রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে ৭৪ আসনের ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ দিয়ে। এরই মধ্যে উড়োজাহাজ দুটি বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে।

বিমানের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাইল হেউড বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালুর ফলে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা সহজেই দেশের বিভিন্ন রুটের সঙ্গে আকাশপথেই সংযুক্ত হতে পারবেন। এতে বিমানের ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটনের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।