• বৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল ২০২৪

‘অন্তর পরিশুদ্ধ নাহলে আল্লাহ’র সন্তুষ্টি লাভ করা যাবে না’


প্রকাশিত: ২:২৬ এএম, ৬ নভেম্বর ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২০ বার

 

হাজী সোলায়মান : আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘909সেদিন (কিয়ামতের দিন) ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততীরা কোনো উপকারে আসবে না, কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে, সেদিন জান্নাতকে মুত্তাকীদের একান্ত নিকটে নিয়ে আসা হবে আর জাহান্নামকে পথভ্রষ্টদের জন্যে খুলে দেয়া হবে।’ [সুরা শুয়ারা : ৮৮-৯১] অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় সে সফলকাম হয়েছে যে তাকে (নিজ অন্তরকে পাপ থেকে) পরিশুদ্ধ করেছে। আর সে ব্যর্থ হয়েছে যে নিজ অন্তরকে (পাপে নিমজ্জিত হয়ে) কুলষিত করেছে। [সুরা শামস : ৯-১০]।

তিনি আরও বলেন, তোমরা তাদের মতো হয়ো না যারা (দুনিয়ার ফাঁদে পড়ে) আল্লাহকে ভুলে গেছে ফলে আল্লাহও তাদেরকে করেছেন আত্মভোলা। মূলত এরাই হচ্ছে পাপাচারী লোক।’ [সুরা হাশর : ১৯]
আয়াত তিনিটি থেকে স্পষ্ট হয়, নফস বা আত্মার বিশুদ্ধ না করে আল্লাহ তায়ালার সন্তোষভাজন হওয়া অসম্ভব।

যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দারা মনকে পরিশুদ্ধ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন এবং যারা আন্তরিক হয়ে নিয়মতান্ত্রিকতার সাথে চেষ্টা করেছেন তারা সাধারণত আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করে সফল হয়েছেন। মনকে পরিশুদ্ধ করার অন্যতম উপায় হলো, প্রকাশ্যে ও গোপনে আল্লাহকে ভয় করা। সুযোগ-সময় পেলে (সুন্নত সম্মত) জিকির করা, বিনয়-নম্রতা অবলম্বন, খারাপ বা অহেতুক চিন্তা হতে নিজেকে মুক্ত রাখা। এই খারাপ গুণগুলো অন্তর থেকে দূর করার শতভাগ চেষ্টা করা।

একই সাথে নফস বা অন্তরের অনুসরণ, অহংকার, হিংসা, অহেতুক রাগ, অধিক পাওয়ার লোভ, দুনিয়ার ও যশ-সম্মানের মোহ, নিজের চিন্তা বা সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত ভাবা, নিজেকে বড় মনে করা ইত্যাদি খারাপ গুণ বর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়া। সেজন্য সদা সতর্ক থাকা।

আমাদের মনে রাখতে হবে অন্তর পরিশুদ্ধ না করে কোনো ইবাদতেই আন্তরিকতা আসবে না, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করা যাবে না, কারণ আল্লাহ তায়ালার কাছে মুখ্য বিষয় হলো আমল ও বিশুদ্ধ অন্তর যা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই অন্তরকে বিশুদ্ধ করতে সচেষ্ট হন। তবেই কষ্টের আমল কবুল হবে মহান মালিকের দরবারে।